হাওজা নিউজ এজেন্সি: এক ঝুঁকিপূর্ণ কূটনৈতিক পদক্ষেপে—যা চলমান শান্তি প্রচেষ্টাকে গুরুতরভাবে ব্যাহত করতে পারে—পুতিন সরাসরি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সরকারকে এই দাবি জানান।
এই তথ্য প্রকাশ পায় সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের এক ফোনালাপে।
ওয়াশিংটন পোস্টের একটি বিশদ প্রতিবেদনে, বিষয়টির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে পরিচিত দুইজন জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পুতিন পূর্ব ইউক্রেনের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ দোনেৎস্ক অঞ্চলের সম্পূর্ণ সংযুক্তিকরণের ওপর জোর দিয়েছেন।
এই অঞ্চলটি রাশিয়া গত ১১ বছরের সংঘাতেও সম্পূর্ণভাবে দখল করতে পারেনি।
পুতিনের এই নতুন অবস্থান স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে ক্রেমলিন এখনো তার সর্বোচ্চ দাবিতে অনড় রয়েছে, যা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দ্রুত শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে বড় বাধার মুখে ফেলতে পারে।
রুশ নেতার এই দাবি—যা এর আগে প্রকাশ্যে আসেনি—সাম্প্রতিক কূটনৈতিক তৎপরতার ওপর দীর্ঘ ছায়া ফেলেছে। এর মধ্যে রয়েছে গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত ট্রাম্প ও জেলেনস্কির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক।
দোনেৎস্কের প্রতি পুতিনের বিশেষ মনোযোগ—যেখানে ইউক্রেনীয় বাহিনী দৃঢ় প্রতিরক্ষা অবস্থানে রয়েছে এবং যা তারা রুশ অগ্রযাত্রার বিরুদ্ধে প্রধান প্রতিরোধ বলয় হিসেবে বিবেচনা করে—ইঙ্গিত দেয় যে যুদ্ধক্ষেত্রে অচলাবস্থা থাকা সত্ত্বেও পুতিনের কৌশলগত উচ্চাকাঙ্ক্ষা অক্ষুণ্ণ রয়েছে।
রাশিয়া ও তার সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ২০১৪ সাল থেকে দোনেৎস্কের কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণে রাখলেও পুরো অঞ্চল কখনো দখল করতে পারেনি।
ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের দাবি পুনর্ব্যক্ত করা ইঙ্গিত করছে যে, আসন্ন ট্রাম্প–পুতিন শান্তি সম্মেলন, যা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে হাঙ্গেরিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা, অত্যন্ত জটিল ও অনিশ্চিত পরিস্থিতির মুখে পড়তে যাচ্ছে।
আপনার কমেন্ট